গলদা চিংড়ির রোগের প্রতিকার ও চিকিৎসা

এসএসসি(ভোকেশনাল) - শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-২ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | | NCTB BOOK

বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ইদানিংকালে চিংড়ি চাষের প্রসার লাভ করছে। চিংড়ি চাষের প্রসারের সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের রোগাক্রান্ত হওয়ার প্রবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশে যে সকল সাধারন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায় সে সকল রোগ ও তাদের প্রতিকার ব্যবস্থা সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো-

Content added By

অ্যান্টেনা ও সন্তরণ পদ খসে পড়া

কারণ: ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ

লক্ষণ : মজুদের ৩-৪ মাস পর অ্যান্টেনা, সন্তরণপদ খণ্ডিত অথবা খসে পড়তে থাকে।

প্রতিকার : সাময়িকভাবে সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে,

 সম্ভব হলে পানি পরিবর্তন করতে হবে, এবং

 পিএইচ পরীক্ষা করে প্রয়োজনে ২৫০-৩০০ গ্রাম/শতাংশ হারে ডালোমাইট প্রয়োগ করতে হবে।

Content added By

শেল বা খোলস শক্ত হয়ে যাওয়া

কারণ : পরিবেশগত কারণে হয়ে থাকে। পানির পিএইচ, লবণাক্ততা বা তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে খোলস পাল্টায় না এবং শক্ত হয়ে যায়।

লক্ষণ : খোলস স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে শক্ত থাকে,

বয়সের তুলনায় চিংড়ির দৈহিক বৃদ্ধি কম হয়।

প্রতিকার : পুকুরের জলজ পরিবেশ উন্নয়ন করতে হবে,

 হঠাৎ পরিবেশের যে কোন পরিবর্তন, যেমন- পানির উচ্চতা বৃদ্ধি অথবা পরিমানমত রাসায়নিক সার প্রয়োগ করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।

Content added By

ক্যারাপেস ও শরীরের ওপর পাথর জমা

কারণ : পরিবেশগত যে কোনো প্যারামিটারের তারতম্যের কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। বিশেষ করে লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে এটা বেশি হতে দেখা যায়।

লক্ষণ: করাত ও ক্যারাপেস অংশে ধূসর রঙের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাথর দেখা যায়।

প্রতিকার : পুকুরের পানি পরিবর্তন করতে হবে,

     স্বাদু পানির সরবরাহ বৃদ্ধি করা, এবং

      পানির গভীরতা বৃদ্ধি করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।

Content added By

নরম খোলস বা স্পঞ্জের মত দেহ

গলদা চাষের মাঝামাঝি সময়ে প্রায়ই এ রোগ দেখা যায়।

কারণ : পানিতে ক্যালসিয়াম কমে যাওয়া

পানিতে অ্যামোনিয়া ও তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া
পুষ্টিকর খাদ্যের অভাব থাকলে এ রোগ হতে পারে, এবং
অনেকদিন পানি পরিবর্তন না করা।

লক্ষণ : খোলস নরম হয়ে যায়,

পা লম্বা ও লেজ ছোট হয়, ও

 দেহ ফাঁপা হয়ে পঞ্জের মত হয়।

প্রতিকার : পুকুরে ২-৩ মাস অন্তর শতাংশ প্রতি ০.৫ কেজি হারে চুন প্রয়োগ

খাবারে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে।

Content added By

খোলস পাল্টানোর পর মৃত্যু

কারণ: খাদ্যে ভিটামিন বি-কমপেক্স, ফ্যাটি অ্যাসিড, আমিষ ও খনিজ দ্রব্যের অভাব,

লক্ষণ : দেহ নরম থাকে এবং রং নীলাভ হয়ে যায়,

উল্লেখ্য যে, সুস্থ চিংড়ি রান্না করলে রং লাল হয়।

প্রতিকার : খাদ্যের সঙ্গে ৫০ মিলি গ্রাম/কেজি হারে ভিটামিন প্রিমিক্স প্রয়োগ।

Content added By

গায়ে শেওলা পড়া

কারণ : খোলস পরিবর্তন না করা ও চিংড়ির চলাফেরার গতি কমে যাওয়া,
লক্ষণ : চিংড়ি ধরার পর সারা দেহে সবুজ শেওলা দেখা যায়।
প্রতিকার : পানি বাড়িয়ে দিতে হবে এবং পরিমাণমত রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে।

Content added By

সুতালু ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ

কারণ : জৈব ও অজৈব পদার্থের পরিমাণ বেশি, অক্সিজেনের পরিমাণ কম, পোনার মজুদ ঘনত্ব বেশি।

 লক্ষণ : চিংড়ির ফুলকায় পশম বা উলের মত আবরণ পড়ে, ফুলকায় ফোটা ফোটা দাগ, সন্তরণ পদ ও উপাঙ্গ খসে পড়া, কালো বর্ণ ধারণ করা।

প্রতিকার: কিউপ্রাস ক্লোরাইড ২ পিপিএম/লিটার দ্রবণে ৩-৪ দিন চিংড়িকে ধৌত করা।

Content added By

কালো ফুলকা রোগ

কারণ : ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের আক্রমণ

লক্ষণ: ফুলকায় কালো দাগ ও পচন, ফুলকায় জৈব পদার্থ জমে থাকা।

প্রতিকার : ফাংগাসে আক্রান্ত হলে অ্যাজালামোইসিনে গোসল করানো, ফিলামেন্টাস ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হলে ফিউরাজলিডন দ্রবণে গোসল করানো।

Content added By
Promotion